Tourist Attractions in Rangamati-রাঙামাটি জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ

রাঙামাটি জেলার দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণের উপায়


রাঙ্গামাটি/রাঙামাটি জেলার দর্শনীয় স্থান কি কি?

১.আর্যপুর ধর্মোজ্জল বনবিহার 
২.উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট
৩.উপজাতীয় যাদুঘর
৪.ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি
৫.ওয়াগ্গা চা এস্টেট 
৬.কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র
৭.কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড
৮.কাট্টলী বিল
৯.কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান
১০.কাপ্তাই লেক
১১.চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার
১২.জেলা প্রশাসকের বাংলো
১৩.ঝুলন্ত ব্রিজ
১৪.টুকটুক ইকো ভিলেজ
১৫.ডলুছড়ি জেতবন বিহার 
১৬.তিনটিলা বনবিহার,
১৭.ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা 
১৮.নৌ বাহিনীর পিকনিক স্পট 
১৯.পেদা টিং টিং, 
২০.ফুরমোন পাহাড়
 
২১.সুবলং ঝর্ণা 
২২.ধুপপানি ঝর্ণা 
২৩.মুপ্পোছড়া ঝর্ণা 
২৪.শুকনাছড়া ঝর্ণা 
২৫.সাজেক ভ্যালী(রাঙামাটিতে অন্তর্গত হলেও, খাগড়াছড়ি হয়ে যাওয়া বেশি সুবিধাজনক। তবে রাঙামাটি থেকেও ঘুরে আসা যায়) 
২৬.রাজবন বিহার 
২৭.রাইংখ্যং পুকুর(বান্দরবান হয়ে যেতে হয়) 


রাঙামাটির দর্শনীয় স্থানসমূহ ভ্রমণের উপায়

১. আর্যপুর ধর্মোজ্জল বনবিহার। 

_স্থানঃ আর্যপুর, বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। 

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লঞ্চযোগে অথবা সড়কপথে বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ১৪০-২০০ টাকা। সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭.৩০ থেকে ৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে বাস ছাড়ে, ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা। সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া যায় অথবা খাগড়াছড়ি হয়েও যাওয়া সম্ভব। ঢাকা থেকেও সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। বাঘাইছড়ি থেকে মোটর সাইকেল অথবা সিএনজি করে এই বনবিহারে পৌঁছানো যায়। বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর হতে সড়কপথে মাত্র ৩ কি.মি দুরে বনবিহার অবস্থিত। অনুমতি সাপেক্ষে এখানে প্রবেশ করে দেখতে পাবেন পাহাড়ের উপর মনোরম পরিবেশে বৌদ্ধদের সাধনা কেন্দ্র। প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে বেষ্টনির মধ্যে আগার বাগান রয়েছে। এছাড়াও নানা রকম ফল-ফলাদি বাগানও রয়েছে এখানে। 

_থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে আবাসিক হোটেলে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। 


২. উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট। 

_স্থানঃ তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। 

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ শহরের যে কোন স্থান থেকে অত্যন্ত সহজেই এখানে যাওয়া যায়। অটোরিক্মা বা প্রাইভেট গাড়ি ইত্যাদি যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া পড়বে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শহরের তবলছড়ির ঠিক আগেই উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট অবস্থিত। পার্বত্য এলাকার উপজাতি কর্তৃক তৈরিকৃত বিভিন্র পোশাক এবং হস্তনির্মিত বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প ক্রয় করা যাবে। পর্যটকদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান। 


৩. উপজাতীয় যাদুঘর। 

_স্থানঃ রাঙ্গামাটি সদর। 

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ যাদুঘরটি সকলের জন্য উম্মুক্ত। রাঙ্গামাটি শহরের ভেদভেদি নামক স্থানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের অভ্যন্তরে এ জাদুঘরটি অবস্থিত। এখানে পার্বত্য অঞ্চলে ববাসরত উপজাতি সমূহের ঐতিহ্য এবং কৃষ্টি-সংস্কৃতির বিভিন্ন নিদর্শন দেখা যাবে। জাদুঘরে রক্ষিত উপজাতীয়দের বিভিন্ন যে কাউকে মুগ্ধ করে সহজে। এছাড়াও জাদুঘরের অভ্যন্তরে রয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমূহের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। এর ভবনটি অনন্য আধুনিক স্থাপত্য কলায় নির্মিত।  


৪. ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি। 

_স্থানঃ রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা। 

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ অটোরিক্মা কিংবা প্রাইভেট গাড়িযোগে কে.কে.রায় সড়ক হয়ে হ্রদের এই পাশে যেতে হবে। অতঃপর নৌকাযোগে হ্রদ পার হয়ে রাজবাড়িতে যাওয়া যাবে। কাপ্তাই হ্রদের মাধ্যমে নৌপথেও এ স্থানে আসা যায়। রাজবন বিহারের পূর্ব পার্শ্বে ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি অবস্থিত। বিহার ও রাজবাািড়র মাঝে আছে হ্রদ। রাজবন বিহারর ঘুরে ইচ্ছে করলে নৌকাযোগে হ্রদ পার হয়ে রাজবাড়িতে যাওয়া যায়। বাংলা নববর্ষের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ্ অনুষ্ঠিত হয়। চাকমাদের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানও এসময় চলতে থাকে। উপজাতীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতির দেখা মিলবে এ সময়। প্রবেশ মূল্য নেই। 

_থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ মূল শহরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় থাকা-খাওয়া নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হয় না। 


৫. ওয়াগ্গা চা এস্টেট। 

_স্থানঃ ওয়াগ্গাছড়া, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। 

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা) বাস/মাইক্রো/অটোরিক্মা/ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাসযোগে কাপ্তাই যাওয়া যায়। কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি নামক স্থানে নামতে হবে। এখানে নেমে ওয়াগ্গাছড়া চা এস্টেট এর নৌকাযোগে কর্ণফুলি নদী পার হয়ে ওয়োগ্গাছড়া চা বাগান যেতে হবে। চট্টগ্রামের বৃহত্তম ও মনোমুগ্ধকর চা বাগান হলো ওযাগ্গা চা এস্টেট। পাহাড়ী এলাকায় কর্ণফুলি নদীর তীরে এ চা বাগান অবস্থিত। কাদেরী টি এস্টেট পরিচালিত এই চা বাগান পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত মনোরম ও উপভোগ্য। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মন জড়িয়ে দেয়। 

_থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ কাপ্তাই-এ থাকা ও খাওয়ার জন্যৌ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিচু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করেও কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান দর্শন করা যায়। 


৬. কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। 

_স্থানঃ চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। 

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিক্মা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রোযোগে কাপ্তাই/চন্দ্রঘোনা যাওয়া যায়। কাপ্তাই রিপিডিবি রিসিপশন গেইট হতে অনুমতি নিয়ে স্পীওয়ে দেখতে যেতে হবে। 

**বাংলাদেশে পানিশক্তি দ্বারা পরিচালিত একমাত্র বিদ্যুৎ স্থাপনা হলো কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ৫০ কিলোমিটার দুরবর্তী রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ১৯৬২ খ্রি: এই কেন্দ্রটি চালু করা হয়। কর্ণফুলি নদীর নির্ধারিত স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে সঞ্চিত পানির বিরাট জলাধার সৃষ্টি এবং পানির এই শক্তিকে গতিশক্তিতে রুপান্তর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এজন্য ৬৭০.৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৪৫.৭ মিটার উঁচু বাঁধ তৈরি করা হয়। এই বাধেঁর পাশে ১৬ টি জলকপাট সংযুক্ত ৭৪৫ ফুট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি জল নির্গমনপথ বা স্পীলওয়ে রয়েছ। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য আগ্রহের একটি স্থান হলো স্পীলওয়ে। পানি পড়ার দৃশ্যটি পর্যটকদের নিকট খুবই উপভোগ্য। এই কেন্দ্রের কার্যক্রম দেখার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। এছাড়া বাইরে থেকে ইঞ্জিনচালিত বোট নিয়ে কেন্দ্রের স্পীলওয়ে দেখা যায়। 

_থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ কাপ্তাই-এ থাকা ও খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু আবাসিক হোটেল আছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যায়।


৭. কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড। 

_স্থানঃ চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। 

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিক্সা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রোযোগে কাপ্তাই/চন্দ্রঘোনা যাওয়া যায়। এর চন্দ্রঘোনা পেপার মিল ১নং গেটে যেতে হবে। 

**১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম কাগজের কল কর্ণফুলি পেপার মিলস্ লিমিটেড। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই এ প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয়করণ করা হয়। কাগজ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল বাশেঁর প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে কর্ণফুলি পেপার মিলটি চন্দ্রঘোনায় স্থাপন করা হয়। এই মিলে সাদা কাগজ এবং বাদামী ও অন্যান্য রঙ্গিন কাগজ উৎপাদিত হয়। এদেশে সরকারী চাহিদার প্রায় অর্ধেকের বেশি কাগজ সরবরাহ করে থাকে এ প্রতিষ্ঠানটি। ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি পর্যটকদের নিকট আকর্ষণীয় স্থান। এখানে বাঁশ ও পাল্পউড থেকে কাগজ তৈরির সকল পর্যায় দেখা যাবে। অনুমতি সাপেক্ষে এখানে প্রবেশ করা যাবে। এছাড়া রাইখালী থেকে এ বিশাল মিলটি দেখা যায়। 

_থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ কাপ্তাই এ থাকা-খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গা

মাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যাবে। 


৮. কাট্টলী বিল। 

_স্থানঃ কাট্টলী বিল, লংগদু, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। 

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লংগদু যাওয়ার পথে কাট্টলরি বিল পাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ৯০-১৫০ টাকা। সময় লাগে ৩-৪ ঘন্টা। লংগদু সদর হতেও নৌকাযোগে কাট্টলীর বিলে পৌঁছানো যায়। 

**ইহা কাপ্তাই লেকের সর্ববৃহৎ বিল। যা ভরা মৌসুমে যখন পানি কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে তখন তার অপরুপ সৌন্দর্য নৌকাযোগে ঘুরে ঘুরে অবলোকন করা যায়। বিলের দুই পাড়ে বড় বড় পাহাড় অবস্থিত। 

_থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ রাঙ্গামাটি শহরে আবাসন ও খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও লংগদু উপজেলায় সীমিত আকারে আবাসন ও খাওয়ার সুবিধা রয়েছে। 


৯. কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান।
_স্থানঃ কাপ্তাই উপজেলা

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ

রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা) বাস, মাইক্রো, অটোরিক্সা, ইঞ্চিন চালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রো বাসযোগে কাপ্তাই যাওয়া যায়। কাপ্তাই নতুন বাজার যাওয়ার আগে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান গেটে নামতে হবে।

নদী, পাহাড় আর সবুজের সহাবস্থান নিয়ে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য হলো কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান। বিস্তৃত পাহাড়রাশি আর চিত্তাকর্ষক উদার প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয় এ জাতীয় উদ্যান। উদ্যানের ভিতরের সেগুন, পারুল, গামারী আর কড়ই গাছের সারি পর্যটকদের নিকট অফুরন্ত আনন্দের উৎস। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের বিশ্রামাগারে দৃশ্যমান দিগন্তজুড়ে সবুজ আর সবুজের সমারোহ মানুষের চোখ ও মনকে জুড়িয়ে দেয়। মূলতঃ জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণ, উন্নয়ন, শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং একা-ট্যুরিজমের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে সরকার কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

_থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ
কাপ্তাই-এ থাকা ও খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যায়।

১০. কাপ্তাই লেক। 
_স্থানঃ কাপ্তাই উপজেলা

_যাতায়াত ব্যবস্থাঃ নৌ-ভ্রমণের জন্য রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও পর্যটন ঘাটে ভাড়ায় স্পীড বোট ও নৌযান পাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘন্টা প্রতি স্পীড বোট ঘন্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০/- টাকা। 

_সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে কর্ণফুলী হ্রদের সৃষ্টি হয়। কৃত্রিম এ হ্রদের আয়তন ২৯২ বর্গমাইল (বর্গ কিলোমিটারে পরিণত করতে হবে)। এ হ্রদের সাথে কর্ণফুলী, কাচালং আর মাইনী নদীর রয়েছে নিবিড় সংযোগ। কাচালং নদীর উজানে লংগদুর মাইনীমুখে এসে হ্রদের বিস্তার দেখে যুগপৎ বিষ্মিত হতে হয়। এখানে হ্রদের বিস্তীর্ণ জলরাশি নির্দ্বিধায় আকাশের সাথে মিশে গেছে। রাঙ্গামাটি শহরে এলেই চোখে পড়ে হ্রদ-পাহাড়ের অকৃত্রিম সহাবস্থান যা দেশের আর কোথাও দেখা মেলেনা। এ হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি আর সবুজ পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের সহজেই কাছে টানে আর হ্রদে নৌ-ভ্রমণ যে কারো মন-প্রাণ জুড়িয়ে দেয় প্রকৃতির আপন মহিমায়। প্রকৃতি এখানে কতটা অকৃপন হাতে তার রূপ-সুধা ঢেলে দিয়েছে তা দূর থেকে কখনই অনুধাবন করা সম্ভব নয়। 


_থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ বর্তমানে কাপ্তাই লেকে হাউজবোটে রাতযাপন ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি, লেকের মাঝখানে উঁচু উঁচু পাহাড়ে কয়েকটি রিসোর্ট নির্মিত হয়েছে, সেখানে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা করেছে। 



To be Continued....(সংগৃহীত)

Post a Comment

2 Comments

  1. ধন্যবাদ। রাঙামাটির পর্যটন স্থান এর তথ্যগুলো সাজিয়ে লিখার জন্য।। তথ্যবহুল।।

    ReplyDelete

Please do not enter any spam link in the comment box.